পুঁজিবাজারের ৪ ব্যাংককে আরও তারল্য সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে আরও তারল্য সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাকা না ছাপিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অর্থ সহায়তা দেবে জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এই চারটি ব্যাংক অর্থ সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল সহায়তা চেয়েছে। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৫ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই চার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে মিটিং করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো কতো টাকা যোগান পেলে সংকট থেকে বের হতে পারবে, সেই তথ্য নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় গভর্নর ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে টাকা ছাপিয়ে তাদের সহায়তা করা হবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম এবং বিল ও বন্ড বাজারে বিক্রির নিজস্ব আয় থেকে ব্যাংকগুলোকে এই সহায়তা দেবে।
এদিকে, নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা পেলে ব্যাংকগুলো খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে-এমন প্রত্যাশা ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
এ বিষয়ে স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুস সাকিব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তার এই বার্তা ব্যাংকগুলো সম্পর্কে গ্রাহকদের নেতিবাচক মনোভাব অনেক পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিঘ্রই গ্রাহকদের আমরা কাংখিত সেবা দেওয়ার অবস্থানে ফিরবো। এ বিষয়ে তিনি গ্রাহকদের ইতিবাচক মনোভাব প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যেসব ব্যাংক অর্থ সংকটের কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের সহায়তার জন্য খুব শিগগিরই আপনারা নতুন উদ্যোগ দেখতে পাবেন।’