ভারতীয় পত্রিকায় রিজার্ভ চুরির নিউজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন ভুয়া
আবারও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়েছে। এবার ভারতীয় হ্যাকররা ডিজিটাল উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। গত এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভ চুরির এ ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের এক পোর্টালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি খবর।
এবিষয়ে আজ (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন রিজার্ভ চুরি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি পত্রিকা। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমাদের এখন ফেডের সাথে তিন স্তরের নিশ্চিতকরণ নীতি রয়েছে এবং লেনদেনের নিয়মিত পুনর্মিলন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে কী ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘নর্থইস্ট নিউজ’। এই নিউজেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়। তবে পূঁজিবাজার প্রেস এর পক্ষ থেকে এই নিউজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
নর্থইস্ট নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ চুরির বিষয়ে অবগত এবং তারা নিরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে।
এতে আরও বলা হয়, এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ চুরির সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। এটি আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ১৩ মে নেট রিজার্ভ ছিলো ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। গত দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দফতরে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলেও এই নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে।
নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিলো।
সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং সরকারি কর্মকর্তারা সফলভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা গোপন রেখেছিলেন।